‘‘নামায কায়েম কর ও যাকাত আদায় কর।’’ (আল কুরআন, ২:৮৩) ও নীতিমালা যাকাত বোর্ড ইসলামিক ফাউন্ডেশন [প্রতিষ্ঠাতা : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান] ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২ যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা ইফা গ্রন্থাগার ঃ ২৯৭.৫৪০২ প্রথম প্রকাশ ঃ ফেব্রæয়ারী ১৯৯০ ৮ম সং¯‥রণ ঃ সেপ্টেম্বর ২০২২ মহাপরিচালক ঃ ড. মোঃ মুশফিকুর রহমান প্রকাশক ঃ ড. মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ পরিচালক যাকাত ফান্ড বিভাগ ফোন : ৮১৮১৭২২, ফ্যাক্স ফোন : ৮১৮১২৩৮ পুস্তিকা প্রণয়ন কমিটি ঃ যাকাত বোর্ড-এর ৫৫তম সভায় গঠিত নীতিমালা সংশোধন কমিটি কর্তৃক প্রণীত এবং ৫৬তম যাকাত বোর্ড সভায় অনুমোদিত। প্রচ্ছদ ঃ জনাব ফারজীমা মিজান শরমীন (এশা) আর্টিষ্ট কম্পিউটার কম্পোজ ঃ জনাব জান্নাত মুদ্রণ ও বাঁধাই ঃ জনাব বোরহান উদ্দীন মোঃ আবু আহসান প্রকল্প ব্যবস্থাপক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রেস ফোন ঃ ৮১৮১৫৩৭ 8181537 Zakat Fund Porichiti O Nitimala (Introduction & Guideline to Zakat Fund): Prepared by Booklet Preparation Committee and Published by Dr. Mohammad Harunur Rashid, Director, Zakat fund cell, Agargaon, Sher-eBangla Nagar, Dhaka-1207 যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা পুস্তিকা বিনামূল্যে বিতরণযোগ্য যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা নউফশসভঠভ যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা ৩ ১৩.০৩.২০২২ খ্রি. তারিখে অনুষ্ঠিত যাকাত বোর্ড-এর ৫৫তম সভায় যাকাত বোর্ডের বিদ্যমান নীতিমালাটি অধিকতর যুগোপযোগী ও শরীয়ত সম্মতভাবে প্রণয়ণের লক্ষ্যে বিদ্যমান নীতিমালা সংশোধন ও পরিমার্জনের নিমিত্তে ৫(পাঁচ) সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত কমিটির পরিচিতি নি¤œরুপ :- ও ঠিকানা কমিটিতে অবস্থান ১। , ও খতীব, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ। ২। সাবেক , , ঢাকা। ৩। , , পরিচালক, ড. সিরাজুল হক ইসলামী গবেষণা কেন্দ্র প্রভোস্ট, কবি জসিম উদ্দীন হল ও সিনেট সদস্য ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়। ৪। । ৫। । - যাকাত ফান্ড নীতিমালা সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটি ৪ যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা ৫ ইসলাম একটি পরিপূর্ণ দ্বীন ও জীবনাদর্শ। ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে যাকাত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি স্তম্ভ। মানুষের আর্থ-সামাজিক কল্যাণ ও নিরাপত্তার জন্য যাকাত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। শরীয়ত অনুযায়ী নির্ধারিত নিসাব পরিমাণ সম্পদের অধিকারী আকিল, বালিগ মুসলিমের উপর আল্লাহ তা‘আলা যাকাত ফরয করেছেন। যাকাত দারিদ্র বিমোচন ও পুনর্বাসনের হাতিয়ার। যাকাত কোন স্বেচ্ছামূলক দান নয়, যা দরিদ্র ও অভাবগ্রস্থদের দয়া করে দেয়া হয়; বরং যাকাত বিত্তবানদের সম্পদ থেকে দরিদ্র ও অভাব গ্রস্থদের জন্য আল্লাহ তা‘আলার নির্ধারিত বাধ্যতামূলক প্রদেয় নির্দিষ্ট অংশ। এদেশে সুদীর্ঘকাল থেকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে যাকাত ব্যবস্থা চালু থাকলেও নানা কারণে যাকাত থেকে কাঙ্খিত সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। যাকাত ব্যবস্থার মাধ্যমে এক সময় সারা মুসলিম জাহানে দারিদ্র দূরীকরণ সম্ভব হয়েছিল। সে সময়ে মুসলিম দেশসমূহে যাকাত নেয়ার মত কাউকে খুঁজে পাওয়া যেত না। তাই সরকার কর্তৃক ইসলামের বিধান অনুযায়ী যাকাতের সদ্ব্যবহার ও নি:স্ব-দরিদ্র মুসলমানদের স্থায়ী কল্যাণের উদ্দেশ্যে এক অধ্যাদেশ বলে ১৯৮২ সালে যাকাত বোর্ড গঠিত হয়। দেশ বরেণ্য খ্যাতনামা আলিমগণকে নিয়ে গঠিত যাকাত বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী যাকাত ফান্ডের অর্থে (ক) টঙ্গী, গাজীপুরে যাকাত বোর্ড শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দু:স্থ শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান, (খ) বিভিন্ন জেলায় সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন পূর্বক প্রশিক্ষণ প্রদানসহ সেলাই মেশিন বিতরণের মাধ্যমে দু:স্থ মহিলাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, (গ) নও-মুসলিমদের স্বাবলম্বীকরণের নিমিত্ত আর্থিক সাহায্য প্রদান কার্যক্রম, (ঘ) দু:স্থ ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা সহায়তার জন্য শিক্ষাবৃত্তি প্রদান এবং (ঙ) ভিক্ষাবৃত্তি দূরীকরণে দু:স্থ-অসহায়দের আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়। তাছাড়া সময়ে সময়ে বোর্ডের অনুমোদনক্রমে যাকাতের অর্থে শরীয়া ভিত্তিক বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। যাকাতের অর্থ শরীয়তের বিধান মতে যথাযথভাবে বিতরণের উদ্দেশ্যে যাকাত ফান্ড অধ্যাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ধারা, যাকাতের খাত, নিসাব, যাকাত সংগ্রহ ও বন্টন নীতিমালা সংশোধন ও পরিমার্জনপূর্বক সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা শীর্ষক পুস্তিকাটির ৮ম সং¯‥রণ প্রকাশ করা হলো। এই পুস্তিকা প্রণয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যগণকে যাকাত বোর্ডের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। যাকাত বোর্ডের উদ্যোগে গৃহীত কার্যক্রমসমূহ সুষ্ঠু ও যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সাহায্য ও সহযোগিতা প্রয়োজন। এজন্য দেশের ভূমিকা ৬ যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা অভ্যন্তরে ও দেশের বাইরের সকল ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও বিত্তবান মুসলিমকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দুঃস্থ ও অসহায় মুসলিমদের অর্থ‣নতিকভাবে স্বাবলম্বীকরণ ও পুনর্বাসনের উদ্দেশ্যে গৃহীত কর্মসূচী বাস্তবায়নের নিমিত্তে সরকারী যাকাত ফান্ডে অর্থ জমা দিয়ে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করার জন্য সকলকে উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি। মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে এ মহতী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার তে․ফিক দান করুন। আমীন\ ড. মোঃ মুশফিকুর রহমান মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও সদস্য-সচিব, যাকাত বোর্ড যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা ৭ ১৯৮২ সালের ৫ জুন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এক অধ্যাদেশ বলে যাকাত ফান্ড গঠন করেন। এই ফান্ড পরিচালনার জন্য বর্তমান সরকার নি¤েœাক্তভাবে ৩ (তিন) বছর মেয়াদে ১৩ (তের) সদস্য বিশিষ্ট যাকাত বোর্ড গঠন করেন : ক্রম সম্মানিত সদস্যগণের নাম ও ঠিকানা পদবী যোগাযোগ ০১. জনাব মোঃ ফরিদুল হক খান, এম.পি মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সভাপতি মোবা : ০১৭১৪- ০৪৬১৫৮ ০২. জনাব মাওলানা মাহমুদুল হাসান প্রিন্সিপাল, জামিয়া মাদানিয়া, যাত্রাবাড়ি, ঢাকা ও খতীব, গুলশান আজাদ মসজিদ, ঢাকা। সভাপতি, বেফাকুল মাদরিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এবং চেয়ারম্যান, আল হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামেআতিল কাওমিয়া। সহ-সভাপতি মোবা : ০১৭১১- ৫২৪১৭৬ ০৩. জনাব কাজী এনামুল হাসান এনডিসি সচিব, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সদস্য (পদাধিকার বলে) মোবা : ০১৭১৩- ০৪৩৭৩৮ ০৪. ড. মোঃ মুশফিকুর রহমান মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব), ইসলামিক ফাউন্ডেশন সদস্য-সচিব (পদাধিকার বলে) মোবা : ০১৭১১- ৯৭২৩৩০ ০৫. হাফেজ মাওলানা আ: কুদ্দুস অধ্যক্ষ, জামিয়া আরাবিয়া এমদাদুল উলুম মাদ্রাসা, ফরিদাবাদ, ঢাকা। সদস্য মোবা : ০১৯১৯- ২৪৯৩৮১ ০৬. হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন মুহতামিম, গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসা, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ। সদস্য মোবা : ০১৭১৫- ০৯১৫২০ ০৭. ড. মুফতী মাও: মুহাম্মদ কাফীলুদ্দীন সরকার সালেহী সাবেক অধ্যক্ষ, ঢাকা নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসা এবং খতিব আমীনবাগ জামে মসজিদ, ২৭ চামেলীবাগ, শান্তিনগর, ঢাকা। সদস্য মোবা : ০১৭১১- ৯৩৩২৬০ ০৮. ড. মাও. মুহাম্মদ আবদুর রশীদ অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সদস্য মোবা : ০১৭১৩- ০০৩০৮২ ০৯. জনাব মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ পরিচালক, শায়খ যাকারিয়া (র.) ইসলামী রিসার্চ সেন্টার, কুড়িল বিশ্বরোড, ঢাকা। সদস্য মোবা : ০১৮১৯- ২৫১০৭০ ১০. জনাব মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ মুহতামিম, দারুল উলুম রামপুরা মাদ্রাসা, ঢাকা। সদস্য মোবা : ০১৮১৯- ২১৯৩৭৪ ১১. ড. মাও. এ. কে. এম. মাহবুবুর রহমান অধ্যক্ষ, ফরিদগঞ্জ আলিয়া মাদ্রাসা, চাঁদপুর। সদস্য মোবা : ০১৭৪০- ৯৩৬১০৩ ১২. জনাব মাও. আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক উপাধ্যক্ষ, কাদেরীয়া ক্সতয়্যবীয়া আলিয়া মাদ্রাসা, মোহাম্মদপুর, ঢাকা। সদস্য মোবা : ০১৮১৭- ৫৩৬৩৬৩ ১৩. ড. হায়দার আলী আকন্দ সহযোগী অধ্যাপক, ঢাকা নেছারিয়া কামিল মাদরাসা। সদস্য মোবা : ০১৫৫২- ৪০৯৪১৮ যাকাত বোর্ড ৮ যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা ১. যাকাত বর্ষঃ যাকাত ফান্ড অধ্যাদেশ অনুযায়ী হিজরি সনের ১ রমযান থেকে শাবান মাসের শেষ তারিখ পর্যন্ত যাকাত বর্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। যাকাত বর্ষ হিসেবে যাকাতের আয়-ব্যয় হিসাব প্রস্তুত করা হয়। ২. বোর্ডের কার্যাবলী ঃ (ক) তহবিল ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনিক নীতিমালা প্রণয়ন। (খ) যে উদ্দেশ্যে তহবিলে অর্থ জমা হয়েছে সেই উদ্দেশ্যে মঞ্জুরী প্রদান। (গ) অধ্যাদেশ অনুযায়ী অন্যান্য প্রয়োজনীয় কার্য ও বিষয়াবলী সম্পাদন। (ঘ) জেলা, উপজেলা, থানা ও অন্যান্য এলাকার জন্য কমিটি অনুমোদন । (ঙ) উল্লেখ্য যে, এই বোর্ড সরকারের অনুমোদনক্রমে অধ্যাদেশ অনুযায়ী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা প্রয়োজনীয় বিধিমালা প্রণয়ন করবে। ৩. জেলা যাকাত কমিটি ঃ প্রত্যেক জেলায় যাকাত সংগ্রহ ও বন্টনের দায়িত্ব জেলা যাকাত কমিটি পালন করবে। বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ৬৪টি জেলায় ‘জেলা যাকাত কমিটি’ থাকবে। এই কমিটি যাকাত সংগ্রহ ও বিতরণ এবং সঠিক রেকর্ড সংরক্ষণের যাবতীয় দায়-দায়িত্ব পালন করবে। সদস্য-সচিব হিসেবে উপ-পরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন জেলা যাকাত কমিটির কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সহায়তা করবেন। কমিটি যাকাতের অর্থে বোর্ড কর্তৃক কেন্দ্রীয়ভাবে বাস্তবায়িত কার্যক্রমের আলোকে জেলা পর্যায়ের কার্যক্রম/কর্মসূচি গ্রহণ করবেন। জেলা যাকাত কমিটির গঠন নি¤œরূপ ঃ ক্রম পদবী কমিটির পদ ০১. জেলা প্রশাসক সভাপতি ০২. উপ-পরিচালক, ইফা. সদস্য-সচিব (পদাধিকার বলে) ০৩. মেয়র, পে․রসভা (জেলা সদর) সদস্য (পদাধিকার বলে) ০৪. সভাপতি, জেল প্রয়োজনে বোর্ড জেলা যাকাত কমিটির সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারবেন। ৪. উপজেলা যাকাত কমিটি ঃ যাকাতের অর্থ সংগ্রহ ও বিতরণ প্রক্রিয়াকে সহজীকরণের লক্ষ্যে যাকাত বোর্ডের ৪৮তম সভায় ৬৪ জেলার ৪৭৮টি উপজেলায় (মুসলিম জনসংখ্যা অধ্যুষিত) উপজেলা যাকাত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কমিটি নি¤œরূপ ঃ (১) সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার- আহবায়ক (২) আলিয়া নেসাবের একজন বিজ্ঞ আলেম সদস্য (৩) ক্বওমী নেসাবের একজন বিজ্ঞ আলেম সদস্য (৪) উপজেলা মসজিদের খতিব/ইমাম সদস্য (৫) প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি সদস্য (৬) বিশিষ্ট মুফতী (আলিয়া নেসাব) সদস্য (৭) বিশিষ্ট মুফতী (ক্বওমী নেসাব) সদস্য (৮) বিশিষ্ট ব্যবসায়ী/সমাজ সেবক সদস্য (৯) সংশ্লিষ্ট উপজেলা ইসলামিক মিশনের এসপিও/পিও/ফিল্ড সুপারভাইজার (মউশিক) সদস্য-সচিব যাকাত সংগ্রহের ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণের আন্তরিক ও সক্রিয় সহযোগিতা উপজেলা যাকাত কমিটি গঠনের মাধ্যমে আরো বেগবান ও কার্যকর হবে ইনশাআল্লাহ। ৫. দাতব্য তহবিল ঃ যাকাত বোর্ড ‘দাতব্য তহবিল’ গঠন করতে পারবেন। এই তহবিলে যে কোন ব্যক্তি কর্তৃক স্বেচ্ছায় প্রদত্ত চাঁদা জমা এবং এই তহবিলে জমাকৃত অর্থ যে কোন ধর্মীয় বা দাতব্য উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে। ১০ যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা ৬. আয়কর রেয়াত ঃ আয়কর আইন, ১৯২২ (১৯২২ এর ১১ আইন) এ ‘‘যা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যক্তি কর্তৃক তহবিলে যাকাত হিসেবে পরিশোধিত অর্থ এবং দাতব্য তহবিলে প্রদত্ত চাঁদা বা দানের জন্য ঐ ব্যক্তির নিকট হতে আয়কর আদায়যোগ্য হবে না।’’ ৭. নিরীক্ষা ঃ বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও হিসাব নিয়ন্ত্রক কর্তৃক প্রতিবছর একবার যাকাত তহবিল এবং দাতব্য তহবিলের হিসাব নিরীক্ষিত হবে। যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা ১১ যাকাতের অর্থ ঃ আভিধানিক অর্থ : আল্লাহ প্রদত্ত বরকতের মাধ্যমে অর্জিত বৃদ্ধি। পারিভাষিক অর্থ : “প্রাপ্ত বয়¯‥, সুস্থ মস্তি®‥ সম্পন্ন নেসাব পরিমাণ বর্ধনশীল সম্পদের অধিকারী প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তির পক্ষ থেকে উক্ত নেসাবের উপর পূর্ণ এক চন্দ্র বছর অতিবাহিত হলে শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত অংশ নির্দিষ্ট ব্যক্তিদেরকে মালিক বানিয়ে দেয়াকে শরীয়তে যাকাত বলে”। ইসলামী অর্থ‣নতিক ব্যবস্থায় যাকাতকে সম্পদ বন্টনের তথা অর্থ‣নতিক ক্সবষম্য হ্রাসের মাধ্যমে সামাজিক সাম্য অর্জনের অন্যতম মে․লিক প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা হিসেবে গণ্য করা হয়। মানুষের আর্থ-সামাজিক কল্যাণ ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ইসলামে যাকাত ব্যবস্থা নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আর তাই কুরআন মজীদে বারবার নামায কায়েম করার সাথে সাথে যাকাত আদায় করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যাকাত আদায় ব্যতীত দ্বীন পূর্ণ হয় না। যাকাত কোন স্বেচ্ছামূলক দান নয় যা দরিদ্র ও অভাবগ্রস্থদের অনুগ্রহ করে দেয়া হয়; বরং যাকাত ধনীর সম্পদ থেকে দরিদ্র ও অভাবগ্রস্থদের জন্য আল্লাহ তা‘আলার নির্ধারিত বাধ্যতামূলক প্রদেয় নির্দিষ্ট অংশ। আল্লাহ তা’আলা মুসলিম সমাজের ধনীদের সম্পদের উপর ঐ পরিমাণ যাকাত ফরয করেছেন, যা তাদেরই গরিব শ্রেণির জন্য স্বাবলম্বী হওয়ার উপায় এবং এই পরিমাণ যাকাত আদায় করলে তারা ক্ষুধা ও বস্ত্রহীন থাকার কষ্টের মধ্যে পড়বে না। যাকাত ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের মধ্যে তৃতীয় স্তম্ভ। নেসাব সম্পন্ন (যাকাতযোগ্য সম্পদের অধিকারী) মুসলমানদের উপর যাকাত আদায় করা ফরয। যাকাতের গুরুত্ব ১২ যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা ১. তাদের (বিত্তবানদের) ধন-সম্পদে রয়েছে অভাবগ্রস্থ ও বঞ্চিতদের হক (আলকুরআন, সূরা যারিয়াত, আয়াত-১৯)। বিপর্যস্ত, অসহায়, শারীরিক প্রতিবন্ধি, কর্মে অক্ষম সকলই-এর হকদার। ২. হে নবী! তাদের (বিত্তবানদের) সম্পদ হতে ‘সাদাকা’ (যাকাত) গ্রহণ করুন ; এর দ্বারা আপনি তাদেরকে পবিত্র করবেন এবং পরিশোধিত করবেন। আপনি তাদের জন্য রহমতের দুআ করুন, নিশ্চয়ই আপনার দুআ তাদের জন্য শান্তি স্বরূপ (আল-কুরআন, সূরা তাওবা, আয়াত-১০৩)। ৩. আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য যে যাকাত তোমরা দিয়ে থাক তাই বৃদ্ধি পায়, তারাই সমৃদ্ধিশালী (আল-কুরআন, সূরা-রূম, আয়াত-৩৯)। ৪. যেদিন জাহান্নামের আগুনে তা (পুঞ্জিভূত সোনারূপা) উত্তপ্ত করা হবে এবং তা দ্বারা তাদের ললাট, পার্শ্বদেশে ও পৃষ্ঠদেশে ছ্যাকা দেয়া হবে সেদিন বলা হবে, এটাই তা যা তোমরা নিজেদের জন্য পুঞ্জিভূত করতে সুতরাং তোমরা যা পুঞ্জিভূত করেছিলে তা আস্বাদন কর (আল-কুরআন, সূরা-তাওবা, আয়াত-৩৫)। ৫. যখন উহা ফলবান হয় তখন এর (উৎপাদিত ফসলের) ফল আহার কর। আর ফসল তোলার দিনে তার হক (উশর) আদায় কর। আর অপচয় করোনা। নিশ্চয়ই তিনি অপচয়কারীদেরকে পছন্দ করেন না (আল-কুরআন, সূরাআন‘আম, আয়াত-১৪১)। ১. যে ব্যক্তি তার সম্পদের যাকাত দিল, সে যেন তার সকল পাপ মোচন করল (তাবারানী)। ২. আল্লাহ যাকে সম্পদ দিয়েছেন সে যদি যাকাত আদায় না করে তাহলে কিয়ামতের দিন তার সম্পদ একটি বিষধর অজগরের রূপ ধারণ করবে, যার দু’চোখের উপর দু’টি কালো চিহ্ন থাকবে। এটি তার গলায় পরিয়ে দেয়া হবে অত:পর তাকে দংশন করবে আর বলবে আমি তোমারই ধন-সম্পদ, আমি তোমারই গচ্ছিত ধন (বুখারী-১/১৮৮, হাদীস নং-১৪৩০)। ৩. যে সব লোক যাকাত দিতে অস্বীকার করবে আল্লাহ তাদের কঠিন ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষে নিমজ্জিত করে দিবেন (বায়হাকী, হাদীস নং-১১৫৬)। ৪. হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) হতে একটি হাদীস শুনেছি, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জলে-স্থলে যেখানেই কোন ধন-সম্পদ ধ্বংস হয়, তা কেবল যাকাত আদায় না করার কারণে (তাবারানী, ২/৫৮)। ৫. হযরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যাকাতের মাল যখন অন্য কোন মালের সাথে মিশে যায় তখন তা ঐ মালকে ধ্বংস করে দেয় (বাযক্স জেলা প্রশাসক ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হলে তাঁর মনোনীত একজন এডিসি সভাপতি হবেন। ক্সা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডা. সদস্য (পদাধিকার বলে) ০৫. ইমাম ও খতীব (জেলা সদরের বড় মসজিদ) সদস্য (জেলা প্রশাসক মনোনিত) ০৬. ইমাম ও খতীব (জেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ) ঐ ০৭. অধ্যক্ষ, আলিয়া মাদরাসা ঐ ০৮. মুহতামিম, বড় ক্বওমী মাদরাসা ঐ ০৯. বিশিষ্ট মুফতি (আলিয়া নেসাব) ঐ যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা ৯ ১০. বিশিষ্ট মুফতি (ক্বওমী নেসাব) ঐ ১১. উপ-কর কমিশনার (ট্যাক্স) সদস্য (পদাধিকার বলে) ১২. সর্বোচ্চ যাকাত দাতা সদস্য-১ সদস্য (জেলা প্রশাসক মনোনীত) ১৩. উপজেলা নির্বাহী অফিসার (সকল) সদস্য (কো-অপ্ট করা যেতে পারে) ্যার, আত তারগীব, হাদীস নং-১১৫৪)। পবিত্র কুরআনের আলোকে যাকাত পবিত্র হাদীসের আলোকে যাকাত যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা ১৩ ৬. হযরত হাসান বসরী (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা যাকাত প্রদান করে তোমাদের ধন-সম্পদের হিফাযত কর, সাদাকা দ্বারা তোমাদের রুগীদের চিকিৎসা কর এবং দু‘আ ও প্রার্থনা দ্বারা বালা মুসিবতের ঢেউকে প্রতিহত কর (তাবারানী)। ৭. যে ব্যক্তি যাকাত আদায় করে না সে ব্যক্তি জাহান্নামের আগুনে জ¦লবে (আত তারগীব ওয়াত তারহীব, হাদীস নং-১১৫৩)। ১। স্বর্ণ-রূপার যাকাত যে কোন উদ্দেশ্যে যে কোন আকৃতিতে নিজ মালিকানায় বিদ্যমান থাকলে যাকাত ফরয শুধু স্বর্ণ হলে ৭.৫০ তোলা (৮৭.৪৮ গ্রাম)। শুধু রূপা হলে ৫২.৫০ তোলা (৬১৬.৩৬ গ্রাম)। উভয় প্রকার মাল বা অন্য কোন যাকাত যোগ্য সম্পদের সমষ্টি রূপার নেসাব সমমূল্যের হলে এবং তা এক চন্দ্র বছর অতিক্রান্ত হলে যাকাত ফরয। স্বর্ণ রূপার সকল প্রকার অলংকারেরও একই বিধান। ২। নগদ ও নগদায়ন যোগ্য সকল প্রকার অর্থের উপর যাকাত ফরয। মুদ্রা দেশি ক্সবদেশিক ব্যাংকের সকল প্রকার এ্যাকাউন্টে গচ্ছিত কোন প্রয়োজন মেটানোর উদ্দেশ্যে জমাকৃত অর্থ, বন্ড ও ডিবেঞ্জার ও ট্রেজারী বিল ও বীমা পলিসিতে জমাকৃত অর্থ। ৩। উসূল যোগ্য প্রাপ্য ঋণ, প্রভিডেন্ট ফান্ড হতে প্রাপ্ত অর্থ, বিল অফ এ্যাকচেঞ্জ, বাকিতে বিক্রিত পণ্যের মূল্য, সিকিউরিটি এ্যাডভান্স সবই নগদ বা নগদায়নযোগ্য অর্থ হিসেবে গণ্য হবে এবং যাকাত তার উপর ফরয হবে রূপার মূল্যের ভিত্তিতে। ৪। ব্যবসা পণ্যের যাকাত যেসব সম্পদ বিক্রি করার উদ্দেশ্যে উৎপাদন বা ক্রয় করা হয়েছে সবই ব্যবসা পণ্যের অন্তর্ভুক্ত। যেমন বিক্রির উদ্দেশ্যে ক্রয়কৃত প্লট, জমি, ফ্ল্যাট, দোকান, গাড়ি ইত্যাদি। তাই মুদারাবা/অংশীদারী কারবারে বিনিয়োগ করলে কারাবারের নগদ কামব্যবসা পণ্য, কাঁচামাল ইত্যাদির আনুপাতিক হারে তার ২.৫০% যাকাত ফরয। কোম্পানীর শেয়ার (ক্যাপিটাল গেইন) প্রকারের হলে তাও ব্যবসা পণ্য ধর্তব্য হবে এবং তার মার্কেট ভেলু হিসাব করে যাকাত দিতে হবে। আমদানীকৃত পণ্যের ক্রয় সম্পন্ন হলে তার উপরও যাকাত ফরয। পোল্ট্রি ফার্মের বিক্রয় যোগ্য সম্পদ, মৎস্য খামারের বাজারমূল্য বিক্রয় যোগ্য মৎসের উপর যাকাত ফরয। ৫। উশরী জমিতে উৎপাদিত কৃষিজাত ফসল : বৃষ্টির পানিতে উৎপাদিত ফসলের উশর অংশ, সেচে উৎপাদিত জমির ফসলের অংশ অথবা শস্যের বাজার মূল্যের সমপরিমাণ প্রতি মে․সুমে আদায়যোগ্য।। ৬। পশু সম্পদ : (ক) ১ ক পর্যন্ত যাকাত প্রযোজ্য নয়। ৪০ থেকে ১২০টি পর্যন্ত ১টি ভেড়া/ছাগল, ১২১-২০০টি পর্যন্ত ২টি ভেড়া/ছাগল, ২০১ যাকাত যোগ্য সম্পদের বিবরণ ১৪ যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা থেকে ৩০০টি পর্যন্ত ৩টি ভেড়া/ছাগল, এর অতিরিক্ত প্রতি ১০০টির যাকাত ১টি করে ভেড়া/ছাগল। (খ) গরু, মহিষ ও অন্যান্য গবাদি পশুর ক্ষেত্রে ১ থেকে ২৯টি পর্যন্ত যাকাত প্রযোজ্য নয়। ৩০ থেকে ৩৯টি পর্যন্ত এক বছর বয়সী ১টি বাছুর, ৬০টি এবং ততোধিক হলে প্রতি ৩০টির জন্য ১ বছর বয়সী এবং প্রতি ৪০টির জন্য ২ বছর বয়সী বাছুর। (গ) ব্যবসার উদ্দেশ্যে মৎস্য চাষ, হাঁস-মুরগী পালন এবং ব্যবসার উদ্দেশ্যে ক্রয়কৃত জমি, নির্মিত বাড়ী প্রভৃতির বাজার মূল্যের হিসাব হবে যেমনÑ৫২১ ২ তোলা রূপা (৬১৬.৩৬ গ্রাম) এর বাজার মূল্যের ২১ ২% অর্থ। ১। স্বর্ণের নেসাব : এড়ষফ (যেকোন আকৃতিতে মালিকানায় বিদ্যমান) ২০ দিনার তথা ৭.৫ তোলা স্বর্ণ (৮৭.৪৮ গ্রাম) মালিক হলে তার উপর যাকাত ফরয। শতকরা ২.৫০% যাকাত প্রদান করা জরুরী। ২। রূপার নেসাব : ঝরষাবৎ (যেকোন আকৃতিতে মালিকানা স্বত্বে বিদ্যমান) দুইশত দিরহাম ৫২.৫০ তোলা ৬১৬.৩৬ গ্রাম এর মালিক হলে যাকাত ফরয। শতকরা ২.৫০% যাকাত প্রদান করা জরুরী। ৩। টাকা পয়সা ব্যবসা পণ্য ও তার উপার্জিত অর্থের নেসাব নগদ ক্যাশ, হাতে বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, ব্যবসায় অর্জিত অর্থ বা নগদায়ন যোগ্য অর্থ যেমন (ক্যাপিটাল গেইন) শেয়ার সার্টিফিকেট, প্রাইজবন্ড ও প্রাপ্য ঋণ। ক্সবদেশিক মুদ্রা, ফেরত যোগ্য বীমা পলিসিতে জমাকৃত প্রিমিয়াম, ভবিষ্যতে কোন কাজ সম্পাদনের উদ্দেশ্যে জমাকৃত অর্থ, ঐচ্ছিক প্রভিডেন্ট ফান্ডের সমুদয় অর্থ বা বাধ্যতামূলক প্রভিডেন্ট ফান্ডের সাথে স্বেচ্ছা প্রদত্ত অতিরিক্ত অর্থ, বিক্রিত পণ্যের মূল্য বা বিল অফ এক্সচেঞ্জ, সিকিউরিটি কিংবা এ্যাডভান্স হিসেবে প্রদত্ত অর্থ। এ ক্ষেত্রে স্বর্ণ বা রূপার মূল্য ধর্তব্য। তবে যে নেসাবের মূল্য কম হবে যেমন বর্তমানে রূপার মূল্য কম তাই ধর্তব্য হবে। সকল প্রকার টাকা পয়সা ব্যবসা পণ্যের ক্ষেত্রে রূপার নেসাবই চ‚ড়ান্ত। ৪। একাধিক প্রকার যাকাতযোগ্য সম্পদের সংমিশ্রণ হলে যাকাতের নেসাব কিছু স্বর্ণ-রূপা, কিছু নগদ ক্যাশ ইত্যাদি থাকলে সে ক্ষেত্রেও স্বর্ণ-রূপার নেসাব ধর্তব্য হবে। রূপার নেসাব কম মূল্য হওয়ায় ৫২.৫০ তোলা রূপার নেসাবই এ ক্ষেত্রে চ‚ড়ান্ত। [বি.দ্র. ঃ নিসাব পরিমাণ মালের মালিক হওয়ার দিন থেকে এক বছর পুর্তির পর যাকাত ফরয হয়।] যাকাতের নেসাবের বিবরণ যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা ১৫ যাকাত আওতামুক্ত সম্পদ সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘বাসস্থানের জন্য নির্মিত ঘরসমূহ, ঘরে ব্যবহার্য্য দ্রব্যাদি, আরোহনের জন্য পশু, চাষাবাদ ও অন্যান্য আবশ্যকীয় কার্য্যে ব্যবহৃত পশু ও দাস-দাসী, কাঁচা তরি-তরকারীসমূহ এবং মে․সুমী ফলসমূহ যা বেশী দিন সংরক্ষণ করা যায় না, অল্পদিনে বিনষ্ট হয়ে যায় ; যেমন-আলু, টমেটো, আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, শশা, তরমুজ, খরমুজ, বাঙ্গী ও লাউ ইত্যাদিতে যাকাত নেই। হানাফী মাযহাব মতে নিজে নিজে উৎপন্ন দ্রব্যাদি যথা-বৃক্ষ, ঘাস এবং বাঁশ ব্যতীত অন্য সমস্ত শস্যাদি, তরি-তরকারী ও ফল সমূহের যাকাত প্রদান করতে হবে। হাদীস শরীফের আলোকে যে সকল সম্পদকে যাকাত থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে, সেগুলোর তালিকা নি¤েœ দেয়া হলো ঃ ১. জমি, ২. মিল. ফ্যাক্টরী, ওয়্যার হাউজ, গুদাম, ৩. দোকান, ৪. বাড়ীÑঘর, জায়গা-জমি, ৫. এক বছরের কম বয়সের গবাদি পশু, ৬. ব্যবহারের যাবতীয় পোশাক, ৭. বই, খাতা, কাগজ ও মুদ্রিত সামগ্রী যা ব্যবসার জন্য নয়, ৮. গৃহের যাবতীয় আসবাবপত্র, বাসন-কোসন ও সরঞ্জামাদি, ক্সতলচিত্র ও স্ট্যাম্প, ৯. মালিকানাধীন অফিসের যাবতীয় আসবাবপত্র, যন্ত্রপাতি, ক্যালকুলেটর, কম্প্উিটার ইত্যাদি সরঞ্জাম, ১০. গৃহ পালিত মুরগী ও পাখি, ১১. কলকব্জা, যন্ত্রপাতি ও হাতিয়ার ইত্যাদি যাবতীয় মূলধন সামগ্রী, ১২. চলাচলের যন্ত্র ও গাড়ী, ১৩. যুদ্ধাস্ত্র ও সরঞ্জাম, ১৪. ক্ষণস্থায়ী বা পচনশীল কৃষিপণ্য, ১৫. বপন করার জন্য সংরক্ষিত বীজ, ১৬. যাকাত বছরের মধ্যে অর্জিত সম্পদ যা সে বছরেই ব্যয় করা হয়েছে এমন সম্পদ, ১৭. দাতব্য বা সমাজ কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের সম্পদ, যা জনগণের উপকার ও কল্যাণে নিয়োজিত, ১৮. সরকারি মালিকানাধীন নগদ অর্থ, স্বর্ণ-রে․প্য এবং অন্যান্য সম্পদ। যে সম্পদের যাকাত প্রদান করতে হয় না ১৬ যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা এছাড়াও মূল্যবান সুগন্ধি, মণিমুক্তা, লোহিতবর্ণ প্রস্তর, শ্বেতপাথর এবং সমুদ্র হতে আহরিত দ্রব্য সামগ্রীর উপর যাকাত নেই; তবে ব্যবসার জন্য হলে ব্যবসায়িক পণ্য হিসেবে যাকাত দিতে হবে। যে সমস্ত পশু বহন ও বাহন ভাড়ায় খাটানো হয় তারও যাকাত দিতে হয় না। যাকাতের সম্পদ সঠিকভাবে বন্টন করার উপর অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এই কারণে আল্লাহপাক নিজেই যাকাত ব্যয় বন্টনের খাত নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। যাকাত কেবল নি:স্ব, অভাবগ্রস্থ ও তৎসংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের জন্য, যাদের চিত্ত আকর্ষণ করা হয় তাদের জন্য, দাস মুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্থদের জন্য, আল্লাহর পথে সংগ্রামকারী ও মুসাফিরদের জন্য। এটা আল্লাহর বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময় (আল কুরআন, সূরা-তাওবা, আয়াত-৬০)। এ খাতের বাইরে অন্য কোন খাতে যাকাতের অর্থ ব্যয় করা যাবে না। নি¤েœ পবিত্র কুরআনে বর্ণিত উল্লেখিত ৮টি খাতের বর্ণনা দেয়া হলো। প্রথমত ঃ ফকীর- ফকীর হলো সেই ব্যক্তি যার মলিকানায় নিত্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোন প্রকারের সম্পদ নিসাব পরিমাণ নেই। যে ব্যক্তি রিক্তহস্ত, অভাব মেটানোর যোগ্য সম্পদ নেই, ভিক্ষুক হোক বা না হোক, এরাই ফকীর। যে সকল স্বল্প সামর্থ্যরে দরিদ্র মুসলমান যথাসাধ্য চেষ্টা করা সত্তে¡ও বা ক্সদহিক অক্ষমতাহেতু প্রাত্যহিক ন্যায়সঙ্গত প্রয়োজনটুকু মেটাতে পারে না, তারা এ শ্রেণীর অন্তর্ভূক্ত। কোন কোন ইমামের মতে, যার কাছে মাত্র একবেলা বা একদিনের খাবার আছে সে ফকীর। দ্বিতীয়ত ঃ মিসকীন- মিসকীন সেই ব্যক্তি যার কিছুই নেই, যার কাছে একবেলা খাবারও নেই। যে সব লোকের অবস্থা এমন খারাপ যে, পরের নিকট সওয়াল করতে বাধ্য হয়, নিজের পেটের আহারও যারা যোগাতে পারে না, তারা মিসকীন। উল্লেখ্য, যার কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নিসাব পরিমাণ অর্থ সম্পদ নেই, তাকে যাকাত দেয়া যাবে এবং সেও নিতে পারবে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে, ফকীর বা মিসকীন যাকেই যাকাত দেয়া হবে, সে যেন মুসলমান হয় এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক না হয়। তৃতীয়ত ঃ আমেলীন (যাদের বেতন ভাতা প্রদান করার জন্য যাকাতের অর্থ ব্যয় করা যাবে)-ইসলামী সরকারের পক্ষে লোকদের কাছ থেকে যাকাত, উশর প্রভৃতি আদায় করে বায়তুল মালে জমা প্রদান, সংরক্ষণ ও বন্টনের কার্যে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ। এদের পারিশ্রমিক যাকাতের খাত থেকে আদায় করা যাবে। কুরআনে বর্ণিত আটটি খাতের মধ্যে এ একটি খাতই এমন, যেখানে সংগৃহীত যাকাতের অর্থ থেকেই পারিশ্রমিক দেয়া হয়। এ খাতের ক্সবশিষ্ট্য হলো এতে ফকীর বা মিসকীন হওয়া শর্ত নয়। পক্ষান্তরে, অবশিষ্ট ৫টি খাতে দারিদ্র্য ও অভাবগ্র্স্থতা দূরীকরণে যাকাত আদায় শর্ত। উল্লেখ্য যে, যাকাত বন্টনের নির্ধারিত ৮টি খাতের বিবরণ ¡ যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা ১৭ আমাদের দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে যাকাত বোর্ড কর্তৃক নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন/পারিশ্রমিক এ খাত থেকে ব্যয় করা যাবে না। চতুর্থত ঃ মুআল্লাফাতুল কুলুব (চিত্ত জয় করার জন্য)- নও মুসলিম যার ঈমান এখনও পরিপক্ক হয়নি অথবা ইসলাম গ্রহণ করতে ইচ্ছুক অমুসলিম। যাদের চিত্ত (দ্বীন ইসলামের প্রতি আকর্ষণ করে) আকর্ষণ ও উৎসাহিত করণ আবশ্যকীয় মনে করে যাকাত দান করা হয়, যাতে তাদের ঈমান পরিপক্ক হয়। এ খাতের আওতায় দুঃস্থ নওমুসলিম ব্যক্তিদের যাকাত প্রদানের ব্যাপারে ফকিহগণ অভিমত প্রদান করলেও পরবর্তীতে যখন ইসলামের শক্তি বৃদ্ধি পায় কাফিরদের পক্ষ থেকে ক্ষতির আশংকা হ্রাস পায় তখন এ খাতটি আর অবশিষ্ট থাকেনি। ফলে চিত্ত জয় করার জন্য যাকাতের খাতটি রহিত হয়ে যায়। পঞ্চমত ঃ ক্রীতদাস/বন্দী মুক্তি- এ খাতে ক্রীতদাস-দাসী/বন্দী মুক্তির জন্য যাকাতের অর্থ ব্যয় করা যাবে। অন্যায়ভাবে কোন নিঃস্ব ও অসহায় ব্যক্তি বন্দী হয়ে গেলে তাকে মুক্ত করার জন্য যাকাতের অর্থ ব্যয় করা যাবে। ষষ্ঠত ঃ ঋণগ্রস্থ- এ ধরনের ব্যক্তিকে তার ঋণ মুক্তির জন্য যাকাত দেয়ার শর্ত হচ্ছে- সেই ঋণগ্রস্থের কাছে ঋণ পরিশোধ পরিমাণ সম্পদ না থাকা। আবার কোন ইমাম এ শর্তারোপও করেছেন যে, সে ঋণ যেন কোন অ‣বধ কাজের জন্য- যেমন মদ কিংবা না- জায়েয প্রথা অনুষ্ঠান ইত্যাদির জন্য ব্যয় না করে। সপ্তমত ঃ আল্লাহর পথে- সম্বলহীন মুজাহিদের যুদ্ধাস্ত্র/সরঞ্জাম উপকরণ সংগ্রহ এবং নিঃস্ব ও অসহায় গরীব দ্বীনি শিক্ষারত শিক্ষার্থীকে এ খাত থেকে যাকাত প্রদান করা যাবে। এ ছাড়াও ইসলামের মাহাত্ম ও গে․রব প্রচার ও প্রসারের কাজে নিয়োজিত থাকার কারণে যারা জীবিকা অর্জনের অবসর পান না এবং যে আলিমগণ দ্বীনি শিক্ষাদানের কাজে ব্যাপৃত থাকায় জীবিকা অর্জনের অবসর পান না। তারা অসচ্ছল হলে সর্বসম্মতভাবে তাদেরকেও যাকাত দেয়া যাবে। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনের সূরা বাকারায় বর্ণিত আছে যে, ‘‘যাকাত এই সমস্ত লোকের জন্য যারা আল্লাহর পথে এমনভাবে ব্যাপৃত যে, দেশময় ঘুরাফেরা করতে পারে না, যাচঞা না করার জন্য অজ্ঞ লোকেরা তাদেরকে অভাবমুক্ত বলে মনে করে।” উল্লেখ্য যে, দ্বীন ইসলাম প্রচারের নামে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ যেকোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং টিভি বা এ জাতীয় কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য এই খাতের অর্থ ব্যয় করা যাবে না। অষ্টমত ঃ অসহায় মুসাফির- স্বস্থান থেকে দূরে অবস্থিত যে সমস্ত মুসাফির যারা কষ্টে নিপতিত আছে তাদেরকে মে․লিক প্রয়োজন পুরণ হওয়ার মত এবং বাড়ী ফিরে আসতে পারে এমন পরিমাণ অর্থ যাকাত থেকে প্রদান করা যায়। ১৮ যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা যাকাত বছরের যে কোন সময় দেয়া যায়; এর জন্য ধরা-বাঁধা কোন সময়সীমা নেই। তবে, হিজরী সাল অনুযায়ী রমযান মাসে যাকাত নির্ধারণ ও পরিশোধ করা অধিক সওয়াবের কাজ। রমযান মাস কুরআন নাযিলের মাস। এ মাস আমাদের উপর আল্লাহর বিশেষ রহমত স্বরূপ। এই মাসের নফল অন্য মাসের ফরযের সমান। রাসুলুল্লাহ (সা.) রমযান মাসে বেশী বেশী দান সাদাকা করতেন। রমযান মাসে যাকাতের হিসাব নির্ধারণ, যাকাত প্রদান করা উত্তম। কারণ এতে অন্য সময়ের তুলনায় সত্তরগুন বেশী সওয়াব পাওয়া যায়। এই হিসেবে আমাদের দেশে ও পৃথিবীর অধিকাংশ মুসলিম দেশে রমযান মাসে যাকাত আদায় করা হয়। তবে, যে ব্যক্তির সাহেবে নিসাব হওয়ার মাস ও তারিখ জানা আছে তার জন্য রমযান মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত নয়। সরকার কর্তৃক হিজরী সালের রমযান মাস হতে পরবর্তী শাবান মাসের শেষ তারিখ পর্যন্ত যাকাত বর্ষ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। নিসাব পরিমাণ মালের মালিক হওয়ার দিন থেকে এক বছর পূর্তির পর যাকাত ফরয হয়। ১. যার নিকট নিসাব পরিমাণ অর্থ বা সম্পদ বিদ্যমান আছে। ২. যারা হাশেমী অর্থাৎ প্রিয়নবী সা. এর বংশধর (হাসানী, হুসাইনী, আলাবী, জা’ফরী) ইত্যাদি। ৩. যাকাত দাতার মা, বাবা, দাদা, দাদী, পরদাদা, পরদাদী, পরনানা, পরনানী ইত্যাদি। ৪. যাকাত দাতার ছেলে, মেয়ে, নাতি, নাতনি, পে․ত্র, পে․ত্রী ইত্যাদি। ৫. যাকাত দাতার স্বামী বা স্ত্রী। ৬. কাফির কিংবা অমুসলিমদেরকে যাকাত দেয়া যাবে না (তবে অন্যান্য সাধারণ দান করা যায়)। ৭. যার উপর যাকাত ফরয হয়, এরূপ লোকের নাবালেগ সন্তান। ৮. মসজিদ, মাদরাসা, ¯‥ুল, কলেজ, হাসপাতাল প্রভৃতি নির্মাণ কাজের জন্য। ৯. মৃত ব্যক্তির দাফন-কাফনের জন্য বা মৃত ব্যক্তির ঋণ পরিশোধের জন্য ইত্যাদি। ১০. রাস্তা-ঘাট, পুল, আশ্রয়কেন্দ্র, গোরস্থান, জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি নির্মাণ ও স্থাপন কার্যে যেখানে নির্দিষ্ট কাউকে মালিক বানানো হয়না। ১১ যাকাত দ্বারা মাদরাসা/মসজিদে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীর (গরীব হলেও) বেতন দেয়া যায় না। যাকাত কখন দিতে হয় যে সকল খাতে যাকাতের অর্থ ব্যয় করা যায় না যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা ১৯ ১. যাকাত বোর্ড শিশু হাসপাতাল প্রকল্পে শুধুমাত্র মুসলিম দরিদ্র শিশুদের জন্য ঔষধ প্রদান করা যাবে। ২. দ্বীনি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষারত গরীব ও মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীর বই-পুস্তক ও কাগজ, কলম, খাদ্য দ্রব্য ইত্যাদি বিতরণ করা যেতে পারে। ৩. সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে শুধুমাত্র মুসলিম দরিদ্র প্রশিক্ষণার্থীদের বৃত্তি ভাতা দেয়া যেতে পারে। ৪. ভিক্ষাবৃত্তি নিরোধ কার্যক্রমে মুসলিম ভিক্ষুকদেরকে প্রশিক্ষণকালীন পোশাক ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস দেয়া যেতে পারে। ৫. যাকাত ফান্ড হতে তাদের মালিকানায় নগদ অর্থ বা উপকরণ হস্তান্তর করে তাদেরকে দারিদ্র মুক্ত ও স্বাবলম্বী করা যেতে পারে। ৬. সরকারী অনুদান থেকে প্রাপ্ত অর্থ দ্বারা যাকাত বোর্ড পরিচালিত কার্যক্রমে নিয়োজিত কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, আসবাবপত্র ইত্যাদি আনুসাংগিক ব্যয় মিটাতে হবে। ৭. মুসলিম দরিদ্র রোগী, ভিক্ষুক, ছাত্র-ছাত্রী ও প্রশিক্ষণার্থীকে যাকাত থেকে নগদ অর্থ প্রদান করে অত:পর তারা প্রদান করলে সেই অর্থ সাধারণ খাতে ব্যয় করা যেতে পারে। ৮. পুষ্টিকর খাদ্য, পোশাক, গরীব বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য সেলাই মেশিন, রিকসা-ভ্যান, নে․কা বা প্রভৃতি উপকরণ বিতরণ জীবিকা নির্বাহের জন্য স্বল্প পুঁজি হিসেবে এবং গবাদী পশু/কৃষি উপকরণ ক্রয়ের নিমিত্ত যাকাতযোগ্য গরীবদের জন্য যাকাতের অর্থ ব্যয় করা যাবে। ১. প্রত্যেক যাকাতবর্ষ (রমযান মাস) শুরুর পূর্বে জেলা যাকাত কমিটির সভায় যাকাত সংগ্রহের জন্য উপজেলা ভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও তা অর্জনের জন্য সাব-কমিটি গঠন করা যেতে পারে। এই উপ-কমিটিতে জনপ্রতিনিধি, সরকারী কর্মকর্তা, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমাম, খ্যাতনামা আলেম ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা/কর্মচারীকে অন্তর্ভূক্ত করা যেতে পারে। ২. যাকাত সংগ্রহের জন্য বোর্ডের অনুমোদনক্রমে নির্ধারিত ব্যাংকে সরকারি যাকাত ফান্ড, যাকাত বোর্ড শিরোনামে সুদবিহীন কালেকশন হিসাব খোলা হবে। এই হিসাব থেকে কোন অর্থ উত্তোলন করা যাবে না। নির্ধারিত ব্যাংকের কালেকশন হিসাব থেকে জমাকৃত অর্থ জেলা যাকাত কমিটিকে অবহিত করে কেন্দ্রীয় হিসেবে প্রতিমাসের শেষে নিয়মিতভাবে স্থানান্তর করতে হবে। যাকাত সংগ্রহ নীতিমালা যাকাতের অর্থ ব্যয়ের ব্যাপারে গঠিত কমিটির সুপারিশ ২০ যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা ৩. জেলা পর্যায়ে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ব্যাংকের কালেকশন হিসাবে সংগৃহীত অর্থ এবং যাকাত বোর্ড প্রধান কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত অর্থ লেনদেনের জন্য জেলা সদরে যে কোন শাখায় জেলা সদরে একটি হিসাব খোলা যেতে পারে। ৪. রমযান মসেই আনুষ্ঠানিকভাবে যাকাত সংগ্রহ শুরু করতে হবে এবং সারা বছর সংগ্রহ করা যাবে। ৫. যাকাত কমিটি গঠন/সংগ্রহ/বিতরণের ক্ষেত্রে দাতা আগ্রহী, আল্লাহভীরু দ্বীনদার ইমাম, আলেম, মুসলিম কর্মকর্তা/কর্মচারীকে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। ৬. প্রত্যেক জেলায় উপজেলাভিত্তিক মুসলিম বিত্তবান যাকাত দাতাদের তালিকা প্রস্তুত ও সংরক্ষণ এবং এই রেজিষ্টার ইসলামিক ফাউন্ডেশন জেলা কার্যালয়ে সংরক্ষিত থাকবে। এতে ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নাম ঠিকানা ও ফোন/মোবাইল নম্বর থাকবে। ৭. যাকাত সংগ্রহের জন্য জেলা/উপজেলা পর্যায়ে সেমিনার, টকশো আলোচনা সভা বাস্তবায়ন, পোষ্টার, লিফলেট বিতরণ ও বিত্তবানকে পত্র প্রদান করতে হবে। ৮. পত্র-পত্রিকা, রেডিও, টিভি, সংবাদ সংম্মেলন/ওয়েবসাইট প্রভৃতি প্রচার মাধ্যমে যাকাত সংগ্রহের জন্য দেশ-বিদেশের বিত্তবান মুসলিম ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের সরকারী যাকাত ফান্ডে যাকাত প্রদানের আহবান জানাতে হবে। ৯. “সরকারী যাকাত ফান্ড হিসেবে এবং দাতব্য তহবিলে জমাকৃত অর্থ আয়করমুক্ত” এই বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে। ১০. নির্ধারিত ব্যাংক শাখার উদ্যোগে ব্যানার প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন ও পত্রিকায় প্রচারের জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে উৎসাহিত করতে হবে। ১১. বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বা শাখা ব্যবস্থাপকগণকে রমযান শুরুর পূর্বেই যাকাত সংগ্রহের জন্য ব্যাংকের দর্শনীয় স্থানে “সরকারি যাকাত ফান্ড হিসেবে যাকাতের অর্থ জমা করা হয়” এবং “সরকারি যাকাত ফান্ড হিসেবে জমাকৃত অর্থ আয়করমুক্ত” “দারিদ্র্য বিমোচন ও পুনর্বাসনের উদ্দেশ্যে সরকারি যাকাত ফান্ডে যাকাতের অর্থ জমা করুন” এই শ্লোগান সম্বলিত ব্যানার/প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করার জন্য লিখিত অনুরোধ জানাতে হবে। ১২. যে জেলা/উপজেলায় যাকাত বেশী আদায় হবে, সেই জেলা/উপজেলায় অর্থ বন্টন/নতুন কার্যক্রম গ্রহণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে। এছাড়া প্রতিবছর বোর্ড কর্তৃক সর্বোচ্চ যাকাত সংগ্রহকারী জেলা যাকাত কমিটির সভাপতি (জেলা প্রশাসক) ও সদস্য-সচিব (উপ-পরিচালক) উপজেলা যাকাত কমিটির আহবায়ক (উপজেলা নির্বাহী অফিসার) ও উপজেলা যাকাত কমিটির সদস্য-সচিব (সংশ্লিষ্ট ফিল্ড সুপারভাইজার, মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্প) এবং প্রতি বিভাগে ৩জন করে সর্বোচ্চ যাকাত সংগ্রহকারীকে যাকাত বর্ষ শুরুর পূর্বে সম্মাননা ও ধন্যবাদ পত্র আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করা হবে। ১৩. মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় মন্ত্রী/সংসদ সদস্যের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে ১০ থেকে ১৭ রমযানের মধ্যে যাকাত সংগ্রহ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা ২১ ১৪. যাকাত সংগ্রহের ক্ষেত্রে সরাসরি ব্যাংকে জমার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে। তবে যাকাত বোর্ডের মাধ্যমে মুদ্রিত যাকাত আদায়ের রসিদের মাধ্যমে যাকাত আদায় করতে হবে। ১৫. পবিত্র মাহে রমযানে প্রত্যেক জুম’আর খুৎবায় ও তাফসীর মাহফিলে ইমামদের মাধ্যমে যাকাত ও উশর আদায়ের গুরুত্ব এবং সরকারী যাকাত ফান্ডে যাকাতের অর্থ জমা করার জন্য বিত্তবানদের আহবান জানাতে হবে। ১৬ প্রতি মে․সুমে উৎপাদিত ফসল তোলার সাথে সাথে নির্ধারিত হারে শষ্যের উপর উশর প্রদান করার জন্য আহবান জানাতে হবে। এ লক্ষ্যে উশর এর গুরুত্ব এবং উশরের নিসাব সম্পর্কে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। ১. যাকাতের অর্থ শুধুমাত্র শরীয়াহ কর্তৃক নির্ধারিত খাতে দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান, স্বাবলম্বীকরণ ও পুনর্বাসনের উদ্দেশ্যে ব্যয় করতে হবে। ২. যাকাতের অর্থ চেক/নগদে/উপকরণ ক্রয় করে এককালীন (অফেরতযোগ্য) বন্টন করতে হবে। ৩. যাকাত গ্রহীতাকে যাকাতের অর্থ/উপকরণ সম্পূর্ণ মালিকানা দিয়ে হস্তান্তর করতে হবে। অন্যথায় যাকাত আদায় হবে না। ৪. কাজের মজুরী/বিনিময় হিসেবে যাকাত প্রদান করা যাবে না। এরূপ হলে যাকাত আদায় হবে না। ৫. যাকাত নির্দিষ্ট খাতে প্রাপকের নিকট হস্তান্তর না হলে কোন জনকল্যাণমূলক কাজে প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা যাবে না। এ ছাড়া মসজিদ, মাদরাসা, ¯‥ুল কলেজ নির্মাণ বাবদ যাকাত প্রদান করা যাবে না। ৬. কোন অমুসলিম, হাশেমী বংশীয় লোক, যে কোন প্রকারের সম্পদ নিসাব পরিমাণ আছে এমন ব্যক্তিকে যাকাত দেয়া যাবে না। তাতে যাকাত আদায় হবে না। ৭. যাকাতের নির্ধারিত আবেদনের সাথে স্থানীয় চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কমিশনার/সদস্য কর্তৃক নাগরিকত্ব/আর্থিক অস্বচ্ছলতা সনদ সংযুক্ত থাকতে হবে। জেলা পর্যায়ে যাকাতের আবেদন জেলা প্রশাসক/উপ-পরিচালক বরাবরে এবং যাকাত বোর্ডে আবেদন চেয়ারম্যান/সদস্য-সচিব, যাকাত বোর্ড বরাবরে দাখিল করতে হবে। ৮. যাকাত বোর্ড/জেলা যাকাত কমিটির প্রতিনিধি/মনোনীত কর্মকর্তা কর্তৃক সরেজমিনে আবেদন যাচাই বাছাইয়ের পর সুনির্দিষ্ট মতামতসহ কমিটির নিকট উপস্থাপন করতে হবে। ৯. জেলা যাকাত কমিটি কর্তৃক প্রার্থী অনুমোদনের পর যাকাত বিতরণ করতে হবে। যাকাত বিতরণের দায় দায়িত্ব কমিটির উপর বর্তাবে। ১০. জেলা থেকে সংগৃহীত অর্থের মধ্যে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত অংশ ৭০% জেলায় বিতরণ করতে হবে। এছাড়া বোর্ড কর্তৃক প্রেরিত যে কোন অর্থ জেলা যাকাত কমিটির মাধ্যমে ব্যয় বন্টন করতে হবে। যাকাত বণ্টন নীতিমালা ২২ যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা ১১. যাকাতের অর্থ সংগ্রহ/প্রাপ্তির পর দ্রæত বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে। অনিবার্য কারণে তা সম্ভব না হলে ঐ যাকাত বছরের মধ্যে অবশ্যই বিতরণ করতে হবে। যাকাতের অর্থ অব্যয়িত থাকলে যাকাত আদায় হবে না। ১২. প্রত্যেক জেলা যাকাত বর্ষে (১রমযান মাস থেকে পরবর্তী শাবান মাসের শেষ তারিখ পর্যন্ত) বার্ষিক আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন যাকাত বোর্ডে প্রেরণ করতে হবে। ১৩. উপ-পরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন জেলা যাকাত কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, যাকাত সংগ্রহ, বিতরণ, ভাউচার সংরক্ষণ ও ব্যয়ের হিসাব ইত্যাদি রেকর্ড সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করবেন। ১৪. যাকাত প্রদানের ক্ষেত্রে সৎ, পরহেজগার, দ্বীনদার ব্যক্তিকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিতে হবে। তবে একই ব্যক্তিকে পর পর দুই বছর যাকাত বন্টনের জন্য নির্বাচন করা যাবে না। ১৫. যাকাত বিতরণের পর কমিটির মনোনীত প্রতিনিধি/ফিল্ডসুপারভাইজার কর্তৃক বিগত সময়ে প্রদত্ত যাকাত গ্রহীতার আর্থিক অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শন করতে হবে। ১৬. নি:স্ব, সম্বলহীন, এতিম, অন্ধ/প্রতিবন্ধি, আতুর, পীড়িত, অসহায় বৃদ্ধ প্রভৃতি মুসলিম ব্যক্তি যারা কর্ম করতে অসমর্থ/অক্ষম তাদের পুনর্বাসনের জন্য যাকাত প্রদান করা যাবে। ১৭. যাকাত বোর্ডের বাস্তবায়িত কার্যক্রম ও জেলা যাকাত কমিটির সদস্যগণ সরেজমিনে পরিদর্শন করতে পারবে এবং পরিদর্শন শেষে মতামতসহ প্রতিবেদন যাকাত বোর্ডে প্রেরণ করতে হবে। ১৮. জেলা যাকাত কমিটি ১ জন প্রার্থীকে সর্বোচ্চ ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকার বেশী নগদ অর্থ যাকাত হিসেবে প্রদান করতে পারবে না। ১৯. যাকে যাকাত দিলে ইসলামের কল্যাণ বা হিত হয় এমন ব্যক্তিকে যাকাত দেয়া উত্তম। ২০. অভাবের কারণে যে সকল দরিদ্র মুসলিম ইসলাম ত্যাগ করার আশংকা রয়েছে তাদেরকে যাকাত প্রদানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার প্রদান করা যেতে পারে। এছাড়া, যাকাত বোর্ড বা জেলা যাকাত কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক যাকাত সংগ্রহ ও বন্টনের ক্ষেত্রে ইসলামী বিধি মোতাবেক যে কোন কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে। যাকাত ফান্ডের আয়ের উৎস মূলত: দু’টি, যথা: (ক) সরকারী অনুদান এবং (খ) মুসলিম জনগণ কর্তৃক স্বেচ্ছায় প্রদত্ত যাকাতের অর্থ। যাকাত ফান্ডের আয়ের উৎস যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা ২৩ (ক) সরকারী অনুদান বাবদ প্রাপ্ত অর্থে যাকাত ফান্ডে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতাসহ সকল প্রশাসনিক ব্যয় নির্বাহ করা হয়। (খ) বিত্তবান মুসলিম জনগণ কর্তৃক প্রদত্ত যাকাতের অর্থ কেবলমাত্র নির্ধারিত খাতে দারিদ্র্য বিমোচন ও পুনর্বাসন
কাজে ব্যয় করা হয়। সরকারী যাকাত ফান্ড-শিরোনামে নি¤েœাক্ত ব্যাংক হিসাব নম্বরে যাকাতের অর্থ জমা দেয়া যাবেক্রম ব্যাংকের নাম ঠিকানা হিসাব নম্বর ০১. সোনালী ব্যাংক লি. মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০ ০০০২৬৩৩০০৫২০৫ ০২. সোনালী ব্যাংক লি. বায়তুল মোকাররম শাখা, ঢাকা১০০০ ০১০৪২০০০০৮২৮৫ ০৩. জনতা ব্যাংক লি. মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০ ০১০০০০১৩৩৫৫৩১ ০৪. ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি. ৭৫, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা১০০০ ২০৫০১০২০২০২২৯০২০৬ ০৫. অগ্রণী ব্যাংক লি. মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০ ০২০০০০০০৫২৫১২ ০৬. রূপালী ব্যাংক লি. ৩৪, দিলকুশা বা/এ, ঢাকা১০০০ ০০১৮০২০০০৭২৬৮ ০৭. রূপালী ব্যাংক লি. ৩৪, দিলকুশা বা/এ, ঢাকা১০০০ ০০১৮০২০০০৭৩৮৯ ০৮. উত্তরা ব্যাংক লি. কর্পোরেট শাখা, মতিঝিল, ঢাকা ১৫৪৫-১২২০০০২১৬৪১ ০৯. ন্যাশনাল ব্যাংক লি. ১৮-দিলকুশা শাখা, ঢাকা১০০০ ০০০২-৩৩১৪৩৮৯৬ ১০. ন্যাশনাল ব্যাংক লি. মতিঝিল শাখা, ঢাকা-১০০০ ১০৫৮০০০০১৪১৩২১১. আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লি. কাওরান বাজার, ঢাকা১২১৫ ১০০০২০০০০৩২৪৩ ১২. আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লি. ১৬১, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা১০০০ ০০২১০২০০৩০৯৮৭ ১৩. ব্যাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক লি. ৮৩-৮৫, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০ ৪০০১-০২১০০৩৮৬৪৬ ১৪. বাংলাদেশ ডেভেলমেন্ট ব্যাংক লি. ৮, রাজউক এভিনিউ, ঢাকা১০০০ ০৬৫০২০০০০১৯৭৩ যাকাত ফান্ড সংগ্রহ ও সংরক্ষণ ২৪ যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা ১৫. এ.বি.ব্যাংক লি. দিলকুশা বা/এ, ঢাকা-১০০০ ৪০০৫-৭৭৭৪৩১-০০০ ১৬. ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক লি. গুলশান এভিনিউ, গুলশান২, ঢাকা ০৯৫১১০১০০০০০৪৭৯৫ ১৭. ইস্টার্ন ব্যাংক লি. ১০, দিলকুশা বা/এ, ঢাকা১০০০ ১০১১০৬০২১৬৮৪০ ১৮. প্রাইম ব্যাংক লি. মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০ ২১০৪১১৭০০৭৭৪১ ১৯. সাউথ ইস্ট ব্যাংক লি. ১, দিলকুশা বা/এ, ঢাকা১০০০ ০০০২-১১১০০০৪৭৬৯১ ২০. সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লি. ১৫, দিলকুশা বা/এ, ঢাকা১০০০ ০০২১৩৩০০৫৮৫২১ ২১. ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লি. ১, দিলকুশা বা/এ, ঢাকা১০০০ ১০১১১০০০৩২১৫৩ ২২. মার্কেন্টাইল ব্যাংক লি. ৬১, দিলকুশা বা/এ, ঢাকা১০০০ ১১০১১১১১০৩৬২০১৫ ২৩. এক্সিম ব্যাংক লি. ৯, রাজউক এভিনিউ, ঢাকা১০০০ ০১৩১১১০০১০২৮৬২ ২৪. দি প্রিমিয়ার ব্যাংক লি. বনানী, ঢাকা-১২১৩ ০১০৪-১১১০০০৭৮১১৩ ২৫. ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লি. দিলকুশা বা/এ, ঢাকা-১০০০ ০১০১-১১১০০০২৭৪৮০ ২৬. স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লি. ১২২-১২৪,মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০ ০০২৩৩০১১৬৮৭ ২৭. ট্রাস্ট ব্যাংক লি. ৩৬, দিলকুশা বা/এ, ঢাকা১০০০ ৭০১৭-০২১২০০০১০৬ ২৮. মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লি. ৬৮, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা১০০০ ০০০২-০২১০০২১৬৯৭ ২৯. ব্যাংক এশিয়া লি. ৬৮ পুরানা পল্টন, ঢাকা১০০০ ০৪৯৩৩০০০৩০৪ ৩০. বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লি. ১৯ রাজউক মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০ ০০২২১০০২৯০০ ৩১. যমুনা ব্যাংক লি. ৩৩, দিলকুশা বা/এ, ঢাকা১০০০ ০০০৬-০২১০০১৬৮৪১ ৩২. শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লি. গুলশান সাউথ এভিনিউ, গুলশান১, ঢাকা-১২১২ ৪০৩০-১১১০০০০০১৪৩ যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা ২৫ ৩৩. ব্র্যাক ব্যাংক লি. ১,গুলশান এভিনিউ,গুলশান১, ঢাকা-১২১২ ১৫০১২০২২০৫৬৮৩০০১ ৩৪. কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন পিএলসি দিলকুশা বা/এ, ঢাকা-১০০০ ১৮০২০০৭৩০৫ ৩৫. হাবিব ব্যাংক লি. গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ ২৬২৪-০৭০০০১২৫৪ ৩৬. স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া লি. ২৪-২৫, দিলকুশা বা/এ, ঢাকা-১০০০ ০৫১২০৩৫০১২০০০১ ৩৭. ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান লি. গুলশান-১, ঢাকা-১২১২ ০০০৪-১১১০০০০২১৬- ৫ ৩৮. ঊরী ব্যাংক লি. গুলশান এভিনিউ, গুলশান১, ঢাকা ৯২৩৯১৬৬৭৫ ৩৯. বেসিক ব্যাংক লি. ধানমন্ডি, বাড়ী-৫৪, রোড৪/এ ঢাকা-১২০৫ ২৮১০-০১-০০০২৯২৬ ৪০. আই.এফ.আই.সি ব্যাংক লি. ৬১, পুরানা পল্টন, ঢাকা১০০০ ১০০১৪৫৬৩৮৩০০১ ৪১. ন্যাশনাল ক্রেডিট এন্ড কমার্স ব্যাংক লি. মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০ ০০০২-০২১০০২৫৫০৪ ৪২. ব্যাংক আলফালাহ লি. মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০ ১২০৪০৮৮২ ৪৩. সোনালী ব্যাংক লি. (ডিসবার্স) বায়তুল মুকাররম, ঢাকা ০১০৪২০০০০৬৮০২ ২৬ যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা ইফাঃ জেলা কার্যালয়সমূহে সরকারি যাকাত ফান্ড শিরোনামে ব্যাংকের নাম ও হিসাব নম্বর তালিকা ক্রম জেলার নাম ব্যাংক ও শাখার নাম হিসাব নং ০১. ইফাঃ ঢাকা সোনালী ব্যাংক লি., বায়তুল মুকাররম শাখা ০১০৪২০০০০১২৮ ০২. ইফাঃ নারায়নগঞ্জ সোনালী ব্যাংক লি.,চাষাড়া শাখা ৩৬১৩৭৩৩০৩৩৯৪৩ ০৩. ইফাঃ গাজীপুর সোনালী ব্যাংক লি., জয়দেবপুর শাখা ০২০৭২০০০০২৮১৪ ০৪. ইফাঃ মানিকগঞ্জ সোনালী ব্যাংক লি. মানিকগঞ্জ শাখা ৪৫০৬০০২১৮৩৯৫২ ০৫. ইফাঃ মুন্সীগঞ্জ সোনালী ব্যাংক লি., প্রধান শাখা ৩৭০৯৩৩০০৯১৪৬ ০৬. ইফাঃ নরসিংদী ইসলামী ব্যাংক লি., কোর্ট বিল্ডিং শখা ১৭১৯০০১০০৭১২৪ ০৭. ইফাঃ কিশোরগঞ্জ সোনালী ব্যাংক লি. কিশোরগঞ্জ শাখা ৩৪১১২০০০০১৬৪২ ০৮. ইফাঃ টাঙ্গাইল সোনালী ব্যাংক লি., টাঙ্গাইল শাখা ৬০২৫১৩৩০১১৪১৭ ০৯. ইফাঃ ফরিদপুর সোনালী ব্যাংক লি., কোর্ট বিল্ডিং, ফরিদপুর ২০১০৭৩৩০০২৪৭৯ ১০. ইফাঃ শরীয়তপুর সোনালী ব্যাংক লি., শরীয়তপুর শাখা ২১১৫৪৩৩০০৯৪৮৫ ১১. ইফাঃ মাদারীপুর সোনালী ব্যাংক লি., মাদারীপুর শাখা ৩৩০০০৫০৯ ১২. ইফাঃ রাজবাড়ী সোনালী ব্যাংক লি., রাজবাড়ী শাখা ৩৩০০৩৬৩১ ১৩. ইফাঃ গোপালগঞ্জ সোনালী ব্যাংক লি., গোপালগঞ্জ শাখা ৬১০১২০০০৮৫১৬ ১৪. ইফাঃ ময়মনসিংহ আল আরাফা ব্যাংক লি, ময়মনসিংহ শাখা ৩৩১৬২০০০৮৫৫৮৮ ১৫. ইফাঃ নেত্রকোনা সোনালী ব্যাংক লি. নেত্রকোনা শাখা ৩৫১৩২০০০০২০৭৭ ১৬. ইফাঃ শেরপুর সোনালী ব্যাংক লি. শেরপুর শাখা ৬২০১২০০০০২৬১১ ১৭. ইফাঃ জামালপুর সোনালী ব্যাংক লি., জামালপুর বাজার শাখা ২৬০৯২০০০১২৩৪২ ১৮. ইফাঃ চট্রগ্রাম সোনালী ব্যাংক লি., চট্রগ্রাম শাখা ০০০০২০০০০০০২০৫ ১৯. ইফাঃ কক্্রবাজার সোনালী ব্যাংক লি. কক্সবাজার শাখা ৩৩০২১৬৯৬ ২০. ইফাঃ বান্দরবান সোনালী ব্যাংক লি., বান্দরবান শাখা ১১০২২০০০২৩৭০৯ ২১. ইফাঃ রাঙ্গামাটি সোনালী ব্যাংক লি. রাঙ্গামাটি শাখা ৫৪২৩০০১০১৪৮৩৯ ২২. ইফাঃ খাগড়াছড়ি সোনালী ব্যাংক লি., খাগড়াছড়ি ট্রেজারী ৫৪১২২০০০০০৩৩৭ ২৩. ইফাঃ নোয়াখালী সোনালী ব্যাংক লি., নোয়াখালী শাখা ৩৮১৮২৩৩০২০৮৪৪ ২৪. ইফাঃ ফেনী সোনালী ব্যাংক লি. ট্রেজারী শাখা ৪০০৪২০০০৩৪৯৭৪ ২৫. ইফাঃ লক্ষীপুর সোনালী ব্যাংক লি. লক্ষীপুর শাখা ৩৩০০৮৭৪৯ ২৬. ইফাঃ কুমিল্লা সোনালী ব্যাংক লি. কর্পোরেট শাখা ১৩০৯৪৩৩০২২৮৩৩ ২৭. ইফাঃ চাঁদপুর সোনালী ব্যাংক লি. নতুন বাজার শাখা ১৫১০২০০০০৩০১৩ ২৮. ইফাঃ বি-বাড়ীয়া সোনালী ব্যাংক লি. িিট.এ রোড শাখা ১৪১৩২০০০১০৮০৫ ২৯. ইফাঃ সিলেট সোনালী ব্যাংক লি. টিলাগড় শাখা, সিলেট ৫৬৩১৭৩৩০০২৪০৬ ৩০. ইফাঃ হবিগঞ্জ সোনালী ব্যাংক লি. হবিগঞ্জ শাখা ৫৭০৫৯৩৩০১৪৪৩৫ যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা ২৭ ৩১. ইফাঃ সুনামগঞ্জ সোনালী ব্যাংক লি. সুনামগঞ্জ শাখা ৫৯১০২০০০০৪০৭৬ ৩২. ইফাঃ মে․লভীবাজার সোনালী ব্যাংক লি. ক্সবদেশিক বাণিজ্য শাখা ৫৮০৬৫৩৩০০৭০৪৯ ৩৩. ইফাঃ রাজশাহী সোনালী ব্যাংক লি. কর্পোরেট শাখা ৪৬১৭৭৩৩০৩৪৬৭১ ৩৪. ইফাঃ নওগাঁ সোনালী ব্যাংক লি. নওগাঁ শাখা ৩৮১৪০৩৩০০৮৫১১ ৩৫. ইফাঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সোনালী ব্যাংক লি. নিউ মার্কেট শাখা ৩৩০০২৪২৬ ৩৬. ইফাঃ নাটোর সোনালী ব্যাংক লি. পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড শাখা ৪৯০৭০০১০০৬৪০৭ ৩৭. ইফাঃ পাবনা সোনালী ব্যাংক লি. পাবনা শাখা ০০১০০৪২৩৪ ৩৮. ইফাঃ সিরাজগঞ্জ সোনালী ব্যাংক লি. সিরাজগঞ্জ শাখা ৪২১৫২০০০০০৮২৩ ৩৯. ইফাঃ বগুড়া সোনালী ব্যাংক লি. আজিজুল হক কলেজ শাখা ০৬০২২০০০০৮৯৪২ ৪০. ইফাঃ জয়পুরহাট সোনালী ব্যাংক লি. জয়পুরহাট শাখা ০৭০৪০০১০১১৮৩৬ ৪১. ইফাঃ রংপুর সোনালী ব্যাংক লি. কর্পোরেট শাখা ৫০১৯০০১০৬৫৮৭৬ ৪২. ইফাঃ গাইবান্ধা সোনালী ব্যাংক লি. গাইবান্ধা শাখা ৫১০৬২০০০০৮৯২২ ৪৩. ইফাঃ কুড়িগ্রাম সোনালী ব্যাংক লি. কুড়িগ্রাম শাখা ৫২০৮৪০২০০১৬৭২ ৪৪. ইফাঃ নীলফামারী সোনালী ব্যাংক লি. নীলফামারী শাখা ৫৩০৯০৩৩০০৯৫৮৩ ৪৫. ইফাঃ লালমনিরহাট সোনালী ব্যাংক লি. লালমনিরহাট শাখা ৩৩০১০৬৩১ ৪৬. ইফাঃ দিনাজপুর সোনালী ব্যাংক লি. কর্পোরেট শাখা ১৮০৯৩৩৩০০১১৭১ ৪৭. ইফাঃ ঠাকুরগাঁও সোনালী ব্যাংক লি. ঠাকুরগাঁও শাখা ১৯১৮২৩৩০১২৩৫৭ ৪৮. ইফাঃ পঞ্চগড় সোনালী ব্যাংক লি. পঞ্চগড় শাখা ০০১০৩৩২৪১ ৪৯. ইফাঃ খুলনা সোনালী ব্যাংক লি. বয়রা শাখা ০০১০১১৮৬৯ ৫০. ইফাঃ যশোর সোনালী ব্যাংক লি. কর্পোরেট শাখা ২৩১৫০৩৩০৬২০৪৫ ৫১. ইফাঃ বাগেরহাট সোনালী ব্যাংক লি. কোর্ট বিল্ডিং শাখা ২০০০০০০৯০ ৫২. ইফাঃ সাতক্ষীরা সোনালী ব্যাংক লি. সাতক্ষীরা শাখা ২৮১৮২০০০৬২১৫৭ ৫৩. ইফাঃ নড়াইল সোনালী ব্যাংক লি. নড়াইল শাখা ২৫০৭২৩৩০০২৭৭৫ ৫৪. ইফাঃ মাগুরা সোনালী ব্যাংক লি. মাগুরা শাখা ২৪১৪২০০০১৯৩১৭ ৫৫. ইফাঃ ঝিনাইদহ সোনালী ব্যাংক লি. প্রধান শাখা ২৪০৭০০১০৩৯৮৭৪ ৫৬. ইফাঃ কুষ্টিয়া সোনালী ব্যাংক লি. কুষ্টিয়া শাখা ৩০১৭১৩৩০০৮৩৮৫ ৫৭. ইফাঃ চুয়াডাঙ্গা সোনালী ব্যাংক লি. চুয়াডাঙ্গা শাখা ৩১০২১৩৩০০০১০৯ ৫৮. ইফাঃ মেহেরপুর সোনালী ব্যাংক লি. কোর্ট বিল্ডিং শাখা ৩২০৭৮৩৪০২৯০২৬ ৫৯. ইফাঃ বরিশাল সোনালী ব্যাংক লি. চক বাজার শাখা ০৩০৮২০০০০০৭৫১ ৬০. ইফাঃ পটুয়াখালী সোনালী ব্যাংক লি. নতুন বাজার শাখা ৪৩১৬২০০০৩১৩০৬ ৬১. ইফাঃ বরগুনা সোনালী ব্যাংক লি. কোর্ট বিল্ডিং শাখা ৪৩০৫২০০০২৪০৯৮ ৬২. ইফাঃ ঝালকাঠি সোনালী ব্যাংক লি. কোর্ট বিল্ডিং শাখা ০৩১৮২০০০২২৬৬৩ ৬৩. ইফাঃ পিরোজপুর সোনালী ব্যাংক লি. পিরোজপুর শাখা ০৫০৮২০০০০০৮৬৮ ৬৪. ইফাঃ ভোলা সোনালী ব্যাংক লি. মহাজনপট্টি শাখা ০৪০৭২০০০০০০০১ ২৮ যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা যাকাত ও উশর আদায় করা একজন মুসলিম সুনাগরিকের দায়িত্বের আওতাভূক্ত। রাসূলুল্লাহ (সা)-এর নিয়োগকৃত সাহাবীগণ নিজ নিজ নির্ধারিত এলাকায় যাকাত ও উশর সংগ্রহ করতেন এবং তা যথারীতি বন্টন করতেন। খুলাফায়ে রাশেদীনের আমলেও যাকাত ও উশর আদায়ের এ ব্যবস্থা কার্যকর ছিল। সে সময়ে বায়তুল মালের মাধ্যমে যাকাত সংগ্রহ ও বন্টনের সুষ্ঠু ব্যবস্থার ফলে অল্প দিনের মধ্যেই দারিদ্র্য দুর করা সম্ভব হয় এবং গ্রহীতার হাত দাতার হাতে পরিণত হয়। এমনকি হযরত উমর ইবনে আবদুল আজিজ (রহ.) এর শাসনামলে মুসলিম সা¤্রাজ্যে যাকাত গ্রহণ করার মত কোন লোকও খুঁজে পাওয়া যেত না। আমাদের যদি আবার সেই হারানো যুগ ফিরে পেতে হয়, সুখী ও সমৃদ্ধিশালী সমাজ লাভ করতে হয়, তা’হলে সাহাবীগণের আমলে যেভাবে যাকাত সংগ্রহ ও বন্টন করা হতো সে ব্যবস্থা অনুসরণ করতে হবে। সুসংগঠিত যাকাত সংগ্রহ ও বিতরণ ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমেই দারিদ্র্য স্থায়ীভাবে নির্মূল করা সম্ভব। আল্লাহ তা’আলা আমাদের সেই তাওফিক দিন। আমীন! উপসংহার যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা ২৯ যাকাত আদায়ের জন্য নির্দিষ্ট চন্দ্র তারিখ ১। সোনা (এড়ষফ) (যে কোন আকৃতিতে যে কোন উদ্দেশ্যে নিজস্ব মালিকানা স্বত্বে বিদ্যমান) .......................... ২। রূপা (ঝরষাবৎ) (যে কোন আকৃতিতে যে কোন উদ্দেশ্যে নিজস্ব মালিকানা স্বত্বে বিদ্যমান.................... ৩। নগদ, নগদায়ন যোগ্য অর্থ ও প্রাপ্য ঋণ (ঈধংয, ঈধংযধনষবং, জবপবরাধনষবং) (ক) নিজ হাতে কিংবা কোন ব্যক্তি বিশেষের নিকট গচ্ছিত অর্থ ........................................................... (খ) ভবিষ্যতে কোন কাজ সম্পাদন যেমন হজ¦, বিবাহ, গৃহনির্মাণ ও ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদির উদ্দেশ্যে জমাকৃত অর্থ.................................................................... (গ) ক্সবদেশিক মুদ্রা (দেশীয় মুদ্রায় তার মূল্যমান) .............................................................. (ঘ) ব্যাংক ও অনান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যে কোন ধরনের একাউন্ট । যথা কারেন্ট, সেভিংস, ফিক্সড, লকার, উ.চ.ঝ, ঋ.উ.জ ইত্যাদিতে জমাকৃত অর্থ............... (ঙ) ফেরতযোগ্য বীমা পলিসিতে জমাকৃত প্রিমিয়াম........................................... (চ) যে কোন ধরনের বন্ড, ডিবেঞ্চার ও ট্রেজারী বিল ইত্যাদির ক্রয় মূল্য...................................... (ছ) ঐচ্ছিক প্রভিডেন্ট ফান্ডের সমুদয় অর্থ বা বাধ্যতামূলক প্রভিডেন্ট ফান্ডের সাথে স্বেচ্ছা প্রদত্ত অতিরিক্ত অংশ....... (জ) কাউকে ঋণ হিসাবে প্রদত্ত অর্থ (যদি ঋণ গ্রহীতা তা স্বীকার করে এবং তা প্রাপ্তির আশা থাকে)..................... যাকাত আদায়ের নমুনা ফরম ৩০ যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা (ঝ) বিক্রিত পণ্যের মূল্য যা এখনো হস্তগত হয়নি বা বিল অফ এক্সচেঞ্জ.............................................. (ঞ) ফ্ল্যাট, বাড়ী, দোকান ইত্যাদি ভাড়া নেয়ার সময় সিকিউরিটি কিংবা এ্যাডভান্স হিসাবে প্রদত্ত ফেরতযোগ্য অর্থ.................................................... (উল্লেখ্য যে, ‘জ’ ‘ঝ’ ‘ঞ’ এই তিন প্রকার সম্পদের যাকাত তাৎক্ষনিক আদায় করা জরুরী নয়, বরং যখন নেসাব পরিমাণের ন্যূনতম এক পঞ্চমাংশ পরিমাণ পাওয়া যাবে তখন আদায় করা জরুরী হবে। তবে তখন পূর্বের সব বৎসরের যাকাত আদায় করতে হবে। এ জন্য প্রত্যেক বৎসরই অন্যান্য সম্পদের সাথে এগুলোর যাকাত আদায় করে দেয়া উত্তম)। ৪। ব্যবসা-পণ্য (ইঁংরহবংং এড়ড়ফং) (যার নি¤েœাক্ত অবস্থা হতে পারে) (ক) বিক্রয়যোগ্য মজুদ, উৎপাদিত মজুদ........... (খ) কাঁচামাল (জধি সধঃবৎরধষ) ......................... (গ) প্রক্রিয়াধীন পণ্য ও প্যাকেটিং-প্যাকেজিং পণ্য ........................................................... (ঘ) এমন জিনিস যা বিক্রি করে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে ক্রয় করা হয়েছে এবং সে ইচ্ছা এখনও বিদ্যমান রয়েছে। যেমন, বিক্রির উদ্দেশ্যে খরিদকৃত জমি, প্লট, ফ্ল্যাট, ধান, আলু, পিঁয়াজ, মরিচ ইত্যাদি.................................... (ঙ) মুদারাবা কিংবা অংশীদারী কারবারে বিনিয়োগকৃত অর্থের নগদ অংশ, তা দ্বারা খরিদকৃত ব্যবসাপণ্য এবং যাকাতযোগ্য লভ্যাংশ........................................ (চ) শেয়ার (ঝযধৎবং) ....................................... (কোম্পানীর শেয়ার যদি ঈধঢ়রঃধষ এধরহ অর্থাৎ দাম বাড়লে বিক্রি করে দিবে এ উদ্দেশ্যে ক্রয় করা হয় তাহলে তার পূর্ণ বাজার দরের উপর যাকাত আসবে। আর যদি কোম্পানী হতে বাৎসরিক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে ক্রয় করা হয়, তাহলে কোম্পানীর যে পরিমাণ সম্পদ যাকাতযোগ্য, শেয়ার প্রতি তার আনুপাতিক হারে যা দাড়ায় শুধুমাত্র যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা ৩১ সে পরিমাণের যাকাত দিতে হবে, যা কোম্পানীর ব্যালেন্স শীটের সাহায্যে নির্ণয় করা যাবে। তবে যদি যাকাতযোগ্য সম্পদের পরিমাণ জানা সম্ভব না হয় তাহলে সতর্কতামূলক পূর্ণ বাজার মূল্যের যাকাত দিতে হবে)। যাকাতযোগ্য সম্পদের মোট পরিমাণ (এৎড়ংং তধশধঃধনষব ডড়ৎঃয) .................................... আর্থিক পরিশোধেয় বা দেনা (খরধনরষরঃরবং) ১। প্রবৃদ্ধি বা ব্যবসার উদ্দেশ্যে ব্যতিত চিকিৎসা, সাংসারিক বা এ ধরনের প্রয়োজনে নেয়া ঋণ................. ২। বাকীতে ক্রয়কৃত পণ্যের অপরিশোধিত মূল্য, যা এ বছরই আদায় করতে হবে ................................. ৩। স্ত্রীর মোহর বা চলতি বছরে দেয়ার ইচ্ছা রয়েছে .............. ৪। ফ্ল্যাট, দোকান, বাড়ী ইত্যাদি ভাড়া দেয়ার ক্ষেত্রে সিকিউরিটি কিংবা এ্যাডভান্স হিসাবে নেয়া ফেরতযোগ্য অর্থ................................................................. ৫। কর্মচারীদের অনাদায়ী বেতন ভাতা...................... ৬। ট্যাক্স, বাড়ী ভাড়া, দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, ফোন বিল ইত্যাদি অতীতের আদায়যোগ্য দেনা যা এখনো দেয়া হয়নি........................................ ৭। অতীতের যাকাত যা এখনো আদায় করা হয়নি (কেননা, তা পূর্ণই যাকাত হিসেবে আদায় করে দিতে হবে) .......... ৮। সুদ বা হারাম পন্থায় অর্জিত অর্থ (কেননা, তা সম্পূর্ণই সাওয়াবের নিয়ত ব্যতিরেকে সদকা করে দিতে হবে) ....... ৯। প্রবৃদ্ধি বা ব্যবসার উদ্দেশ্যে নেয়া ঋণ যা দ্বারা যাকাতযোগ্য সম্পদ যেমন ঃ কাঁচামাল, ব্যবসাপণ্য ইত্যাদি ক্রয় করা হয়েছে, অবশ্য যদি তা দ্বারা এমন সম্পদ ক্রয় করা হয় যা যাকাতযোগ্য নয় যেমন ঃ ৩২ যাকাত ফান্ড পরিচিতি ও নীতিমালা জমি, বিল্ডিং, ফ্যাক্টরীর জন্য মেশিন ইত্যাদি তাহলে যাকাতের ক্ষেত্রে তা ঋণ হিসাবে ধর্তব্য হবে না.............. মোট আদায়যোগ্য দেনা ...................................... (মোট যাকাতযোগ্য সম্পদ হতে আদায়যোগ্য দেনা বিয়োগের পর যা অবশিষ্ট থাকবে তার ৪০ ভাগের ১ ভাগ অর্থাৎ ২.৫% হারে যাকাত দিতে হবে)। মোট যাকাতযোগ্য সম্পদ (এৎড়ংং তধশধঃধনষব ডড়ৎঃয)................................................... মোট আদায়যোগ্য দেনা (খরধনরষরঃরবং) .................. অবশিষ্ট যাকাতযোগ্য সম্পদ (ঘবঃ তধশধঃধনষব ডড়ৎঃয) আদায়যোগ্য যাকাত (অসড়ঁহঃ চধুনষব) ..........................২.৫% ১৬.০১.০০০০.০১৫.০১.০৪৭.২০২২/২০০০