ইসলামের প্রচার-প্রসারের লক্ষ্যে বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ১৯৭৫ সালের ২২ মার্চ এক অধ্যাদেশবলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। ২৮ মার্চ ১৯৭৫ সালে ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন’ এ্যাক্ট প্রণীত হয়। বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলমান। সুপ্রাচীনকাল থেকে এ দেশে ইসলামী আর্দশ ও মূল্যবোধের লালন ও চর্চা হয়ে আসছে। ইসলামের এই সমুন্নত আর্দশ ও মূল্যবোধের প্রচার ও প্রসার কার্যক্রমকে বেগবান করার লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এ্যাক্ট অনুযায়ী এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিম্নরুপঃ
(ক) মসজিদ ও ইসলামী কেন্দ্র, একাডেমী ও ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা;
(খ) মসজিদ ও ইসলামী কেন্দ্র, একাডেমী ও ইনস্টিটিউট এবং সমাজসেবায় নিবেদিত সংগঠনসমূহকে আর্থিক সহায়তা দেয়া;
(গ) সংষ্কৃতি, চিন্তা, বিজ্ঞান ও সভ্যতার ক্ষেত্রে ইসলামের অবদানের উপর গবেষণা পরিচালনা;
(ঘ) ইসলামের মৌলিক আর্দশ বিশ্ব-ভ্রাতৃত্ববোধ, পরমতসহিষ্ণতা, ন্যায়বিচার প্রভৃতি প্রচার করা ও প্রচারের কাজে সহায়তা করা এবং সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে ইসলামী মূলোবোধ ও নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের সুপারিশ করা;
(ঙ) ইসলামী মূল্যবোধ ও নীতিমালা জনপ্রিয় করে তোলার লক্ষ্যে ইসলামের ইতিহাস, দর্শন, সংস্কৃতি,আইন ও বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কিত গবেষণার আয়োজন করা ও তার প্রসার ঘটানো এবং জনপ্রিয় ইসলামী সাহিত্য সুলভে প্রকাশ করা এবং সেগুলির বিলি-বন্টনকে উৎসাহিত করা;
(চ) ইসলাম ও ইসলামের বিষয় সম্পর্কিত বই-পুস্তক, সাময়িকী ও প্রচার পুস্তিকা অনুবাদ করা, সংকলন করা ও প্রকাশ করা;
(ছ) ইসলামের ইতিহাস, দর্শন, সংস্কৃতি, আইন ও বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কিত বিষয়াদির উপর সম্মেলন, বক্তৃতামালা, বির্তক ও সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা।;
(জ) ইসলাম বিষয়ক গবেষণার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য পুরস্কার ও পদক প্রবর্তন করা;
(ঝ) ইসলাম সম্পর্কিত প্রকল্পের উদ্যোগ নেয়া, প্রকল্প গ্রহণ করা কিংবা তাতে সহায়তা করা;
(ঞ)ইসলাম বিষয়ক গবেষণার জন্য বৃত্তি প্রদান করা;
(ট) বায়তুল মোকাররম মসজিদের ব্যবস্থাপনা ও উন্নতিবিধান করা এবং
(ঠ) উপরোক্ত কার্যাবলির যেকোনটির ক্ষেত্রে আনুষঙ্গিক বা আপতিক সকল কাজ সম্পাদন করা।
বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন এখন সরকারী অর্থে পরিচালিত মুসলিম বিশ্বের অন্যতম একটি বৃহৎ সংস্থা হিসেবে নন্দিত। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয় আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর ছাড়াও বায়তুল মোকাররমস্থ অফিসে প্রধান কার্যালয়ের কয়েকটি বিভাগীয় কার্যালয় রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানটি কেন্দ্রীয়ভাবে ১৭টি বিভাগ, ৭টি প্রকল্প, ১টি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী, মাঠপর্যায়ে ৮টি বিভাগীয়সহ ৬৪টি জেলা কার্যালয় এবং আর্তমানবতার সেবায় ৫০টি ইসলামিক মিশন কেন্দ্র, ৭টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমী কেন্দ্রের মাধ্যমে সারাদেশে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে।
বোর্ড অব গভর্নরস
ইসলামিক ফাউন্ডেশন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি সংস্থা-এটি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা। ফাউন্ডেশনের সার্বিক নীতি নির্ধারণ, নির্দেশনা প্রদান, কার্যক্রম গ্রহন, তত্ত্বাবধান ও পর্যবেক্ষণের জন্য মাননীয় সংসদ সদস্য, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, ইসলামী চিন্তাবিদ ও সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বোর্ড অব গভর্নরস রয়েছে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাননীয় মন্ত্রী উক্ত বোর্ডের চেয়্যারম্যান এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সম্মানিত মহাপরিচালক উক্ত বোর্ডের সদস্য সচিব।
সাংগঠনিক কাঠামো
ইসলামিক ফাউন্ডেশন-এর প্রধান নির্বাহী হলেন মহাপরিচালক। তিনি সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হন। বোর্ড অব গর্ভনরসের সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের দায়িত্ব তারঁ উপর ন্যস্ত থাকে। কার্য সম্পাদনের তাকে সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রেষণে নিযুক্ত ১ জন সচিব, ১৭ জন পরিচালক, ১ জন তত্ত্বাবধায়ক এবং ৭ জন প্রকল্প পরিচালক রয়েছেন। তারা প্রত্যেকে এক-একটি বিভাগ/প্রকল্পের প্রধান।
জনবল
বর্তমানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন-এর রাজস্ব ও উন্নয়ন খাতে ২৩১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সম্মানী/ভাতার ভিত্তিতে ৭১,১৮৫ জন সহ সর্বমোট ৮৪,২৫৩ জন কর্মরত রয়েছে।
তহবিল
ইসলামিক ফাউন্ডেশন-এর তহবিল-এর উৎস হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের নিকট থেকে প্রাপ্ত অনুদান ও ঋণ,বিদেশি রাষ্ট্র অথবা সংস্থার নিকট হতে প্রাপ্ত সাহায্যে ও ঋণ, দান ও অনুদান, বিনিয়োগ, রয়্যালটি ও সম্পত্তি হতে প্রাপ্ত আয়।
ইসলামের প্রচার-প্রসারের লক্ষ্যে বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ১৯৭৫ সালের ২২ মার্চ এক অধ্যাদেশবলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। ২৮ মার্চ ১৯৭৫ সালে ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন’ এ্যাক্ট প্রণীত হয়। বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলমান। সুপ্রাচীনকাল থেকে এ দেশে ইসলামী আর্দশ ও মূল্যবোধের লালন ও চর্চা হয়ে আসছে। ইসলামের এই সমুন্নত আর্দশ ও মূল্যবোধের প্রচার ও প্রসার কার্যক্রমকে বেগবান করার লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এ্যাক্ট অনুযায়ী এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিম্নরুপঃ
(ক) মসজিদ ও ইসলামী কেন্দ্র, একাডেমী ও ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা;
(খ) মসজিদ ও ইসলামী কেন্দ্র, একাডেমী ও ইনস্টিটিউট এবং সমাজসেবায় নিবেদিত সংগঠনসমূহকে আর্থিক সহায়তা দেয়া;
(গ) সংষ্কৃতি, চিন্তা, বিজ্ঞান ও সভ্যতার ক্ষেত্রে ইসলামের অবদানের উপর গবেষণা পরিচালনা;
(ঘ) ইসলামের মৌলিক আর্দশ বিশ্ব-ভ্রাতৃত্ববোধ, পরমতসহিষ্ণতা, ন্যায়বিচার প্রভৃতি প্রচার করা ও প্রচারের কাজে সহায়তা করা এবং সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে ইসলামী মূলোবোধ ও নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের সুপারিশ করা;
(ঙ) ইসলামী মূল্যবোধ ও নীতিমালা জনপ্রিয় করে তোলার লক্ষ্যে ইসলামের ইতিহাস, দর্শন, সংস্কৃতি,আইন ও বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কিত গবেষণার আয়োজন করা ও তার প্রসার ঘটানো এবং জনপ্রিয় ইসলামী সাহিত্য সুলভে প্রকাশ করা এবং সেগুলির বিলি-বন্টনকে উৎসাহিত করা;
(চ) ইসলাম ও ইসলামের বিষয় সম্পর্কিত বই-পুস্তক, সাময়িকী ও প্রচার পুস্তিকা অনুবাদ করা, সংকলন করা ও প্রকাশ করা;
(ছ) ইসলামের ইতিহাস, দর্শন, সংস্কৃতি, আইন ও বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কিত বিষয়াদির উপর সম্মেলন, বক্তৃতামালা, বির্তক ও সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা।;
(জ) ইসলাম বিষয়ক গবেষণার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য পুরস্কার ও পদক প্রবর্তন করা;
(ঝ) ইসলাম সম্পর্কিত প্রকল্পের উদ্যোগ নেয়া, প্রকল্প গ্রহণ করা কিংবা তাতে সহায়তা করা;
(ঞ)ইসলাম বিষয়ক গবেষণার জন্য বৃত্তি প্রদান করা;
(ট) বায়তুল মোকাররম মসজিদের ব্যবস্থাপনা ও উন্নতিবিধান করা এবং
(ঠ) উপরোক্ত কার্যাবলির যেকোনটির ক্ষেত্রে আনুষঙ্গিক বা আপতিক সকল কাজ সম্পাদন করা।
বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন এখন সরকারী অর্থে পরিচালিত মুসলিম বিশ্বের অন্যতম একটি বৃহৎ সংস্থা হিসেবে নন্দিত। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয় আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর ছাড়াও বায়তুল মোকাররমস্থ অফিসে প্রধান কার্যালয়ের কয়েকটি বিভাগীয় কার্যালয় রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানটি কেন্দ্রীয়ভাবে ১৭টি বিভাগ, ৭টি প্রকল্প, ১টি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী, মাঠপর্যায়ে ৮টি বিভাগীয়সহ ৬৪টি জেলা কার্যালয় এবং আর্তমানবতার সেবায় ৫০টি ইসলামিক মিশন কেন্দ্র, ৭টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমী কেন্দ্রের মাধ্যমে সারাদেশে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে।
বোর্ড অব গভর্নরস
ইসলামিক ফাউন্ডেশন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি সংস্থা-এটি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা। ফাউন্ডেশনের সার্বিক নীতি নির্ধারণ, নির্দেশনা প্রদান, কার্যক্রম গ্রহন, তত্ত্বাবধান ও পর্যবেক্ষণের জন্য মাননীয় সংসদ সদস্য, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, ইসলামী চিন্তাবিদ ও সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বোর্ড অব গভর্নরস রয়েছে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাননীয় মন্ত্রী উক্ত বোর্ডের চেয়্যারম্যান এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সম্মানিত মহাপরিচালক উক্ত বোর্ডের সদস্য সচিব।
সাংগঠনিক কাঠামো
ইসলামিক ফাউন্ডেশন-এর প্রধান নির্বাহী হলেন মহাপরিচালক। তিনি সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী। বোর্ড অব গর্ভনরসের সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের দায়িত্ব তারঁ উপর ন্যস্ত থাকে। কার্য সম্পাদনের তাকে সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রেষণে নিযুক্ত ১ জন সচিব, ১৭ জন পরিচালক, ১ জন তত্ত্বাবধায়ক এবং ৭ জন প্রকল্প পরিচালক রয়েছেন। তারা প্রত্যেকে এক-একটি বিভাগ/প্রকল্পের প্রধান।
জনবল
বর্তমানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন-এর রাজস্ব ও উন্নয়ন খাতে ২৩১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সম্মানী/ভাতার ভিত্তিতে ৭১,১৮৫ জন সহ সর্বমোট ৮৪,২৫৩ জন কর্মরত রয়েছে।
তহবিল
ইসলামিক ফাউন্ডেশন-এর তহবিল-এর উৎস হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের নিকট থেকে প্রাপ্ত অনুদান ও ঋণ,বিদেশি রাষ্ট্র অথবা সংস্থার নিকট হতে প্রাপ্ত সাহায্যে ও ঋণ, দান ও অনুদান, বিনিয়োগ, রয়্যালটি ও সম্পত্তি হতে প্রাপ্ত।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস